দিল্লির অতি চাপে আবার বাঁকবদল : বিগড়ে যেতে পারে পশ্চিমও
নতুন কৌশলগত পথে সরকার
॥ ফারাহ মাসুম ॥
প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর দেশটির চাওয়া-পাওয়ার সর্বগ্রাসী চাপে পড়েছে সরকার। ক্যাবিনেট গঠন থেকে শুরু করে প্রশাসনে নিয়োগ পদোন্নতি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে তাদের অনুরোধ অনুসারে কাজ করতে হয়। এ চাপের মাত্রা নিরাপত্তা অঙ্গন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে শুরু করার পর সেটি নেয়া সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। অনুরোধের ঢেকী গেলা বেশি অসহনীয় হওয়ার ফলে সরকার আবার পাল্টা পক্ষকে খুশি করে ভারসাম্য আনার পথ গ্রহণ করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ নতুন পথযাত্রায় চীন সহযোগিতার ডালি নিয়ে এগিয়ে আসছে। অন্যদিকে বৃহৎ প্রতিবেশী ছাতা গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমের নমনীয়তাও ধীরে ধীরে কঠিন রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সরকারের ওপর মহল ও শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা।
অতি চাপে দিশেহারা!
৭ জানুয়ারির একতরফা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতার বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করা হতে থাকে। নির্বাচনে এ লবির তালিকা থেকে কমপক্ষে ৪০ জনকে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনে এমপি পদে জিতিয়ে আনা হয়। মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় এ লবির পছন্দের ব্যক্তিদের বসানো হয়। কিন্তু এতকিছু করার পরও তারা সর্বাত্মকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। সব ধরনের প্রশাসনে তাদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি দিতে চাপ দেয়। সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও ন্যূনতম ২০ শতাংশ তাদের বাছাইকৃতদের নিয়োগদানের চাপ আসে। এ চাপে ....বিস্তারিত
ভারতীয় পণ্য বর্জন
নীরব সামাজিক আন্দোলন
॥ বিশেষ সংবাদদাতা ॥
ভোক্তাদের অপছন্দনীয় কোম্পানি বা দেশের পণ্য বর্জন ও বয়কট আন্দোলন আধুনিক বিশ্বে নতুন কোনো বিষয় নয়। আজকের বাংলাদেশে এটি নতুন একটি ধারণা হলেও ইউরোপ-আমেরিকায় শত বছর আগেই শুরু হয়েছে এবং চলছে একসময় ভারতেও এ পণ্য বর্জন আন্দোলন করা হয়েছে। আজ থেকে এক শত বছর আগে ভারতে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের একটি আন্দোলন করেছিলেন কংগ্রেস ও হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতারা, যা স্বদেশি আন্দোলন নামেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী যিনি ভারতে মহাত্মা গান্ধী হিসেবেই সমধিক পরিচিত- এটাকে স্বরাজ নামে অভিহিত করেন। ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট কলকাতার টাউন হল থেকে স্বদেশি আন্দোলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়- যাতে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিদেশি পণ্য তথা ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করা যায়। স্বদেশি আন্দোলন ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেরই একটি কর্মসূচি। স্বদেশি আদর্শে উদ্বুদ্ধ এ আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিকভাবে ব্রিটিশ শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদসাধন এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতিসাধন। আন্দোলনের রণকৌশলের অন্তর্গত ছিল ব্রিটিশ পণ্য বয়কট এবং দেশীয় শিল্প ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নতিসাধন। এ আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ থেকে ভারতের স্বাধীনতা অর্জন।
পণ্যের ভোক্তাদের শক্তিকে কাজে লাগাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আন্দোলন গড়ে তুলতে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে ওঠে। ঊনবিংশ শতকের শেষের দিকে ১৮৯৯ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল কনজ্যুমারস লীগ নামে একটি বেসরকারি এডভোকেসি গ্রুপ ....বিস্তারিত
প্রচণ্ড দাবদাহ, মানুষেরই কর্মফল
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
বাংলাদেশ স্মরণকালের এক সংকট অতিক্রম করছে। গণতন্ত্রহীনতার রাজনৈতিক সংকটের সাথে যোগ হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এদেশের মানুষ বন্যা, খরা, সাইক্লোনের মতো দুর্যোগের সাথে পরিচিত। কিন্তু এবার এসেছে নতুন বিপদ তীব্র তাপপ্রবাহ। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এ প্রভাব এখনই নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সবুজ-শস্য-শ্যামল নদীমাতৃক বাংলাদেশে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু কেন এ দুর্যোগ? পরিবেশ বিপর্যয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য মানুষই দায়ী- এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। মূলত মানবসমাজের নেতারাই দায়ী। যারা সরকারে আছেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তাদের স্বৈরশাসন (প্রাকৃতিক নিয়মবিরোধী আচরণ) মানুষকে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত করছে। স্বৈরশাসন এবং প্রাকৃতিক আইন বা নিয়মবিরোধী আচরণ ধারণাটি নতুন মনে হলেও আসলে নতুন নয়। মানবসভ্যতার ইতিহাস, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং তাওরাত, ইঞ্জিল ও পবিত্র কুরআনসহ আসমানি গ্রন্থগুলো এ বার্তা দিয়ে আসছে সৃষ্টির সূচনাকাল থেকেই। এর একটি বিশেষ ইসলামী পরিভাষা আছে। মানে এ বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিধান বা সাধারণ স্বতসিদ্ধ প্রাকৃতিক নিয়ম বলে প্রচার করা হয় সেই পরিভাষাটির বদলে।
তারা আল্লাহর দেয়া বিধান না মেনে নিজেরা বিধান রচনা করেন। তাদের মনগড়া প্রভুর বা নেতার রচিত বিধান অনুসরণ করেন। তাদের বোঝাতে পবিত্র আসমানি গ্রন্থগুলোয় সেই পরিভাষা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই পরিভাষাটির বদলে আধুনিক বিজ্ঞান যাকে প্রাকৃতিক ....বিস্তারিত
ভাতের মাড় ফেলা যাবে না
১ কোটি ২০ লাখ টন চালের অপচয় রোধ করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রতি বছর গড়ে চালের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় চার কোটি টন। উৎপন্ন এসব চালের মধ্যে নষ্ট ও অপচয় হচ্ছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টন। মূলত চালের পলিসিং ও ভাতের মাড় ফেলে দেওয়ার মাধ্যমেই এসব চাল নষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের অপচয় রোধ করা গেলে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর চাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
গত ২৮ এপ্রিল রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত পুষ্টিভাত কনভেনশনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বলা হয়, চালকলে চালের পলিসিং বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বসাভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে ভাতের মাড় ফেলা বন্ধ হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. খুরশিদ জাহান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাদ্যবিজ্ঞান গবেষক ও মাড়ের ধৃতিমান চিহ্নিতকারী গাজী রফিক। নিজের গবেষণার নানা বিষয়বস্তুর আলোকে তিনি বলেন, দেশের চাল পলিশিংয়ের মাধ্যমে ১৫-২০ শতাংশ চাল নষ্ট করা হচ্ছে। ফলে গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ চালের অপচয় হিসাবে নিলে গত বছর প্রায় ৬০ লাখ টন চাল নষ্ট হয়েছে।
অন্যদিকে ভাতের মাড় ফেলে দেওয়ার কারণে চালের ১৫ শতাংশ নষ্ট হয়। এর মাধ্যমে আরো ৬০ লাখ টন চাল নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টন চাল নষ্ট হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ইমেরিটাস ....বিস্তারিত
দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ
বিপদের ঝুঁকিতে ২১ জেলা
সোনার বাংলা প্রতিবেদক : দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এপ্রিলের প্রথম দিনে উত্তরাঞ্চল দিয়ে শুরু হয়েছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। ওই তাপপ্রবাহ গত ২৯ এপ্রিল সোমবার দেশের প্রায় সব জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ২১ জেলার অধিবাসীরা তাপপ্রবাহের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছেন। সিলেট ও নেত্রকোনা জেলায় তাপপ্রবাহ না থাকলেও তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র তুলে ধরেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। সরকারের কাছে দেওয়া তাদের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তাপপ্রবাহের কারণে সারা দেশের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে কষ্ট ও বিপদে আছেন। এর বড় অংশ প্রচণ্ড গরমের কারণে দৈনন্দিন কাজ করতে পারছে না। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সংস্থাটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান তাপপ্রবাহের চিত্র তুলে ধরেছে এবং সারা দেশের তাপপ্রবাহ নিয়ে একটি মানচিত্র তৈরি করেছে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মানচিত্র অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি উষ্ণতার বিপদে থাকা ২১ জেলা হচ্ছে- সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও বাগেরহাট। মানচিত্রে দেখা যায়, তাপপ্রবাহের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে এ ২১ জেলা। আর ১৪টি জেলা ২১ জেলার চেয়ে কিছুটা কম ঝুঁকিতে আছে। বাকি জেলাগুলো কিছুটা কম গরমের ঝুঁকিতে রয়েছে। আর দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ ....বিস্তারিত
২০ বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে ৮ জনের প্রাণহানি
সড়ক-মহাসড়ক মৃত্যুফাঁদ
স্টাফ রিপোর্টার : গত ২৯ এপ্রিল সোমবার সকালে কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুর যেতে চেয়েছিলেন সবজি ব্যবসায়ী শাহজাহান কবিরাজ (৪৮)। কিন্তু তার আর মেহেরপুর যাওয়া হয়নি, কুষ্টিয়ার মিরপুরে সকাল ৭টার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের চেয়ারম্যান রোড এলাকায় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহজাহান মিরপুর পৌরসভার যুগিপোল মহল্লার মৃত আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজের ছেলে। এভাবেই প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গত ২৮ এপ্রিল রোববারও বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে বাগেরহাটে তিনজন, ময়মনসিংহে দুজন এবং রাজধানী ঢাকা, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুন্সগীঞ্জ ও মাদারীপুরে একজন করে নিহত হয়েছেন। ২৮ এপ্রিল দিনের বিভিন্ন সময় ও আগের রাতে এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
বাগেরহাট জেলার রামপালে ট্রাকচাপায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। ২৮ এপ্রিল সকাল পৌনে ৮টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের চেয়ারম্যানের মোড়ে একটি ট্রাক পেছন দিক থেকে ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক যাত্রী মারা যান। আহত হন চালকসহ চারজন। আহতদের উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আরো দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করেছে কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ....বিস্তারিত
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট
বিভ্রান্তির অবসান
॥ জামশেদ মেহ্দী ॥
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন নীতি; বিশেষ করে বিগত ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রিক রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। সাপ্তাহিক সোনার বাংলার এ প্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন বিরোধীদলীয় গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতার সাথে কথা বলেছেন। কথা বলে বোঝা গেছে, তারা মার্কিন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। তাদের দু-একজন তো বলেই ফেললেন যে, ভারত আওয়ামী লীগের পক্ষে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিল। রাশিয়া তো সরাসরি আওয়ামী লীগের পক্ষে বিবৃতিই দিয়েছিল। চীনও আওয়ামী লীগের পক্ষে স্পষ্ট ভূমিকা নিয়েছিল। চীন এবং রাশিয়া তো সরাসরি বলেই দিয়েছিল, আমেরিকা নাকি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। তারা সরাসরি না বললেও পরোক্ষভাবে বলেছেন, আমেরিকা বিএনপিকে সমর্থন করেছে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী তো বলেই ফেলেছেন, ভারতের চাপে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নির্বাচন ইস্যুতে আর সক্রিয় দেখা যায়নি।
কিন্তু দিন শেষে কী দেখা গেল? ৬ মাস আগেও আমেরিকার যে ভূমিকা ছিল, ৬ মাস পরও সেই একই ভূমিকা। নট নড়ন-চড়ন। আর কেউ কেউ বলেন, যথাপূর্বং তথা পরং। আসলে অভিযোগ বলুন আর অনুযোগ বলুন, আমেরিকা যা বলেছিল, সেখানেই রয়েছে। তারা তো কোনোদিন বলেনি যে, তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাবে। আমার কাছে আমেরিকার ভূমিকা ছিল অল থ্রু ক্লিয়ার। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিল। তারা তো কোনো সময় বলেনি যে, তারা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন ....বিস্তারিত
সারা দেশে জামায়াত, বিএনপি ও শিবিরের পানি ও স্যালাইন বিতরণ
সোনার বাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, বিভাগীয় নগরী রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লাসহ সারা দেশের জেলা-উপজেলায় চলমান দাবদাহে তৃষ্ণার্ত পথচারী ও এলাকার রিকশাচালকের মাঝে পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর পত্রস্থ করা হলো।
মোহাম্মদপুরে জামায়াতের উদ্যোগে তৃষ্ণার্ত পথচারী ও রিকশাচালকের মাঝে পানির বোতল, স্যালাইন বিতরণ করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানার উদ্যোগে ৩৩নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় তৃষ্ণার্ত পথচারী ও এলাকার রিকশাচালকের মাঝে পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
এতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মোহাম্মদপুর জোন পরিচালক জিয়াউল হাসান। উপস্থিত ছিলেন থানা আমীর ডা. শফিউর রহমান, থানা নায়েবে আমীর মাহাদী হাসান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, আশরাফুল আলম, হাফিজুর রহমান শিকদার প্রমুখ। পথচারী ও শ্রমিক ভাইদের মাঝে ৫০০ বোতল বিশুদ্ধ সুপেয় পানি বিতরণ করা হয়েছে।
বিমানবন্দর এলাকায় ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিমানবন্দর থানার উদ্যোগে থানা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা এনামুল হকের নেতৃত্বে প্রচণ্ড দাবদাহে সর্বস্তরের ....বিস্তারিত
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নজিরবিহীন বিক্ষোভ
সোনার বাংলা ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এবং ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সেখানকার সাধারণ জনগণ। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে সেদেশের বিশ^বিদ্যালয়ে বিশ^বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ মিছিল। শত শত ছাত্র-ছাত্রী সে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর আগে এরকম বিক্ষোভ দেখেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। বাইরের একটি ইস্যু নিয়ে উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ধর্ম-বর্ণ সব ভুলে শিক্ষার্থীরা এক কাতারে। প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবি একটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইল নীতি বদলাতে হবে। যত দ্রুত এটির উদ্যোগ নেয়া হবে, তত ভালো। না হলে বিক্ষোভ আর বাড়বে। এদিকে সূত্র বলছে, বিক্ষোভের কারণে বদলে যেতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইল নীতি।
জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছেন দেশটির সবচেয়ে নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরাও সমর্থন দিচ্ছেন তাদের। দাবি আদায়ে অনড় শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী তাঁবু বসিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচল করে দিচ্ছেন। আন্দোলন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে, ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নজিরবিহীন এ ছাত্র ....বিস্তারিত
ইসলামী শ্রমনীতিই শ্রমিক ও মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের গ্যারান্টি : ডা. শফিকুর রহমান
সোনার বাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতিই শ্রমিক ও মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের গ্যারান্টি। ইসলামী শ্রমনীতি চালু করার মাধ্যমেই শ্রমিক সমাজের প্রকৃত মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে এবং মালিকদের স্বার্থও সংরক্ষিত হতে পারে।
১ মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ তথা ‘মে দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়ে গত ২৯ এপ্রিল সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতি ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আগামী ১ মে ‘মে দিবস’। ১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিক সমাজ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। বিশ্বের শ্রমিক সমাজ তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এখনো তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে আসছে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সে আন্দোলন আজও পুরোপুরি সফলতা লাভ করেনি। প্রায় সময় শ্রমিকদের তাদের ন্যায্য বেতন-ভাতার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এমনকি ন্যায্য পাওনা আদায় করতে গিয়ে তাদের মূল্যবান জীবনও দিতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণের পরিবর্তে মালিকপক্ষ নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যা শ্রমিকদের তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্রমিকরাও তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে ....বিস্তারিত
নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
স্টাফ রিপোর্টার : মানুষের একান্ত আবশ্যকীয় খাদ্য হচ্ছে ভাত। বাঙালি আর যাই খাক না কেন, ভাত খেতেই হয়। গত কয়েক মাস ধরে চালের মূল্য অব্যাহত বৃদ্ধির কারণে ভাত খাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ। যারা মধ্যবিত্ত, তাদেরও ব্যয়সীমা বেড়েছে। চালের মূল্য ঠিক কীভাবে বাড়ছে তার একটি চিত্র হলো নাজিরশাইল এক বস্তা চালের মূল্য (৫০ কেজি) মাত্র তিন মাস আগেও ছিল ৩৭শ’ টাকা। কিন্তু গত তিন মাসে গড়ে ১০০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়ে এখন সেই চাল ৪০০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ মাসে গড়ে বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা করে বেড়েছে। এ চালের এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি জানান, ২০০৫ সালে মাত্র ২৩ টাকা কেজিতে এ চাল ক্রয় করেছিলেন কিন্তু এখন প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য (এক বস্তা ক্রয় করলে) ৮০ টাকা, আর বাসা পর্যন্ত পৌঁছাতে আরও একশ’ টাকা যোগ করলে প্রতি কেজি চালের মূল্য দাঁড়ায় ৮২ টাকা। অর্থাৎ চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যে চালের কেজি ছিল ২৩ টাকা, বর্তমান সরকারের আমলে সেই চালের কেজি প্রায় চারগুণ বেড়ে ৮২ টাকায় খেতে হচ্ছে। অধিকাংশ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি এমনই। আবার কোনো কোনো পণ্যমূল্য আরও কয়েকশ’ গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই।
বাজারে যে পণ্যের মূল্য একবার বাড়ে, তা আর কমার নাম নেই। খবর নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের ....বিস্তারিত
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- নতুন কৌশলগত পথে সরকার
- নীরব সামাজিক আন্দোলন
- প্রচণ্ড দাবদাহ, মানুষেরই কর্মফল
- বিভ্রান্তির অবসান
- বিপদের ঝুঁকিতে ২১ জেলা
- ১ কোটি ২০ লাখ টন চালের অপচয় রোধ করতে হবে
- ইসলামী শ্রমনীতিই শ্রমিক ও মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের গ্যারান্টি : ডা. শফিকুর রহমান
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নজিরবিহীন বিক্ষোভ
- নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
- সারা দেশে জামায়াত, বিএনপি ও শিবিরের পানি ও স্যালাইন বিতরণ